ট্রেনে সেনা সদস্যকে মারপিটের ঘটনায় সিল্কসিটি ট্রেনের মোট ৭ কর্মীর বিরুদ্ধে জিআরপি থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে সেনাবাহিনীতে কর্মরত ভুক্তভোগী সৈনিক ইসমাইল হোসেন বাদি হয়ে এই মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অজ্ঞাত আরও ৭/৮ জনকে আসামী করা হয়েছে।
জিআরপি থানা পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় রাজশাহী রেল স্টেশনে অভিযান চালিয়ে সকালে সিল্কসিটি ট্রেনের গার্ডসহ মোট ৩ জনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী স্টেশনে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন, সিল্কসিটি ট্রেনের পাওয়ার কার অপারেটর মোস্তাফিজুর রহমান, অ্যাটেনডেন্ট মো: মুনচেহের আলী ও এসি অপারেটর মো: মনির হোসেন। তাদের তিনজনকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এছাড়া নাম উল্লেখ করে আসামী করা হয়েছে আরও চার জনকে। তারা হলেন, ক্যারেজ এটেনডেন্ট সাব্বির হোসেন ঝলক, গার্ড আলী আজম, আলামিন আলী, পিএ অপারেটর ইসতিয়াক আহম্মেদ।
মামলার এজহারে বলা হয়, ১২ ফেব্রুয়ারি বুধবার ঢাকায় কর্মরত সেনা সদস্য ইসমাইল হোসেন রাতে সিল্কসিটি ট্রেনে রাজশাহীতে আসছিলেন। ট্রেনের বগিতে বারবার টিকিট দেখতে চাওয়া ও টিটিই দের খারাপ ব্যবহারের বিষয়ে অভিযোগ জানানোর কথা জানালে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে অ্যাটেনডেন্টসহ ট্রেনের অন্য কর্মীরা সেনা সদস্যকে মারপিট করে। পরে আবারও রাজশাহী স্টেশন এলাকায় তাকে মারধর করা হয়, ট্রেনের নিচে ফেলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়। এক পর্যায়ে ইসমাইল হোসেন অজ্ঞান হয়ে গেলে স্থানীয়রা তাকে রাজশাহী সেনানিবাসের সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি করান।
এবিষয়ে অভিযোগ পেয়ে বৃহস্পতিবার দিনভর সেনা সদস্যরা রাজশাহী স্টেশনে অভিযান চালায় এবং সিল্কসিটি ট্রেনের তিন সদস্যকে আটক করে রাজশাহী রেলওয়ে থানায় নিয়ে যায়। আটক তিনজন ছাড়া বাঁকী সবাই পলাতক রয়েছে। আটক তিনজনকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান রেলওয়ে জিআরপি থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান জানান,গ্রেফতারকৃত এরইমধ্যে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।এই ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।