এবার সরকারি অনুদানের জন্য পূর্ণদৈর্ঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব আহ্বান করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। তবে শর্তসাপেক্ষে প্রযোজক, পরিচালক ও চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্টরা অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারবেন বলে তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব শারমিন আখতার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে— ২০২৪-২৫ অর্থবছরে পূর্ণদৈর্ঘ্য সর্বোচ্চ ১২টি ও স্বল্পদৈর্ঘ্য সর্বোচ্চ ২০টি— সব মিলিয়ে ৩২টি চলচ্চিত্রকে অনুদান দেওয়া হবে। সিনেমার ক্ষেত্রে দৈর্ঘ্য হতে হবে কমপক্ষে ৭০ মিনিট। স্বল্পদৈর্ঘ্যের ক্ষেত্রে কমপক্ষে দৈর্ঘ্য হতে হবে ৩০ মিনিট। এ ছাড়া অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারবেন শুধু দেশীয় নির্মাতা ও প্রযোজকরা।
আর প্রযোজক, পরিচালক, চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পেশাদাররাই গল্প জমা দিতে পারবেন। এমনকি একই সঙ্গে আলাদা প্রস্তাবে পূর্ণদৈর্ঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমার জন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আবেদন করতে পারবে। তবে পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমার ক্ষেত্রে অনুদানপ্রাপ্ত প্রথম সিনেমা মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমার ক্ষেত্রে সার্টিফিকেশন সনদ গ্রহণ ব্যতীত কোনো প্রযোজক পুনরায় আবেদন করার যোগ্য হবেন না।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে— আগ্রহীদের চলচ্চিত্রের গল্প, চিত্রনাট্য ও অভিনয়শিল্পীদের নামসহ পূর্ণাঙ্গ প্যাকেজ আগামী ৭ এপ্রিল বিকাল ৪টার মধ্যে তথ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে। নির্মাণের সার্বিক পরিকল্পনা, শিল্পী ও কলাকুশলীদের তালিকাসহ প্রতিটি পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাবের ১২ কপি জমা দিতে হবে। অনুদান প্রদানে সরকারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। কিন্তু অনুদান প্রদানের পরও সরকার যে কোনো নতুন শর্তারোপ করতে পারবে।
চলচ্চিত্রশিল্পে মেধা ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করতে এবং বাংলাদেশের আবহমান সংস্কৃতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে প্রতি বছর সরকার অনুদান দিয়ে থাকে। গত বছর ২০টি সিনেমা ও ৬টি স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমাকে অনুদান দেওয়া হয়।