ইসরায়েলের বন্দর ও বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলার জবাবে পাল্টা দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। সোমবার (৭ জুলাই) ভোরে ইয়েমেন থেকে ছোড়া ওই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করার চেষ্টা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)। তবে ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত হয়েছে কি না, তা এখনো তদন্তাধীন।
ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম জানিয়েছে, কেউ আহত হওয়ার বিষয়ে তাদের কাছে এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য নেই।
ইয়েমেন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পর জেরুজালেমের দক্ষিণে বেশ কয়েকটি বসতিতে সাইরেন বেজে ওঠে। এসব এলাকার মধ্যে ছিল এটজিওন ব্লক ও হেবরন।
এর আগে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, ইয়েমেনের হোসেইন, রাস ইসা ও সালিফ বন্দর এবং রাস কান্তিব বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা চালানো হয়েছে।
হুতি নিয়ন্ত্রিত আল-মাসিরা টিভি জানিয়েছে, ইসরায়েল হোদেইদায় একের পর এক হামলা চালিয়েছে। এর ঠিক আগে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ইয়েমেনের তিনটি বন্দর থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার জন্য সতর্কবার্তা জারি করেছিল।
এদিকে ফিলিস্তিনের গাজায় আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় রোববার ইসরায়েলের বেন গুরিওন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নতুন সামরিক অভিযান পরিচালনার কথা জানিয়েছিলেন ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি।
প্রতিবেদন মতে, রোববার (৬ জুলাই) ইয়াহিয়া সারি এই ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, তেল আবিবের কাছে অবস্থিত ইসরায়েলের ব্যস্ততম বিমানবন্দর বেন গুরিওনে দিনের শুরুতে একটি হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়।
ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনীর এই মুখপাত্রের মতে, ক্ষেপণাস্ত্র অভিযান ‘সম্পূর্ণরূপে সফল’ হয়েছে এবং এর ফলে ওই বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ করা হয়েছে।
গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিশোধ হিসেবে ইয়েমেন কয়েক দফায় বেন গুরিওন বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।