চীনের সঙ্গে বিতর্কিত হিমালয় সীমান্তের কাছে নতুন বিমানঘাঁটির উদ্বোধন করেছে ভারত। বৃহস্পতিবার ভারতের একজন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছেন এই তথ্য। বিমানঘাঁটিতে সামরিক পরিবহন বিমান প্রথম অবতরণ করেছে। ভারতের বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এ পি সিং বুধবার লাদাখে নবনির্মিত মুদ-ন্যোমা বিমানঘাঁটিতে একটি সি-১৩০জে সামরিক পরিবহন বিমানে অবতরণ করেন।
গত অক্টোবরে সীমান্তে সামরিক উত্তেজনা কমাতে একটি মাইলফলক চুক্তি এবং এই বছর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির চীন সফরের পর, পারমাণবিক অস্ত্রধারী প্রতিবেশীদের মধ্যে সম্পর্কের স্থবিরতার মধ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানান, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৩ হাজার ফুট (প্রায় ৪ হাজার মিটার) উচ্চতায় অবস্থিত এই বিমানঘাঁটি যুদ্ধবিমান পরিচালনার উপযোগীভাবে তৈরি করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বিষয়টি সংবেদনশীল হওয়ায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক। এই অবতরণের মধ্য দিয়ে সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা সক্ষমতায় একটি গুরুত্বপূর্ণ নতুন অধ্যায় যুক্ত হলো বলে কর্মকর্তারা মন্তব্য করেছেন।
প্রতিবেশী চীন এবং পাকিস্তানের কথা উল্লেখ করে অবসরপ্রাপ্ত এয়ার মার্শাল সঞ্জীব কাপুর এক্সে লিখেছেন, ‘লাদাখের এই নতুন বিমানঘাঁটি যুদ্ধবিমান পরিচালনার জন্য সক্ষম। আমাদের উভয় প্রতিপক্ষের জন্যই একটি নতুন চ্যালেঞ্জ।’
তিনি আরো বলেন, চীনের একটি বিমানঘাঁটিও একই উচ্চতায় রয়েছে। ভারতীয় বিশ্লেষক এবং কর্মকর্তারা বলছেন, বরফ গললেও চীন এবং ভারতের মধ্যে অবিশ্বাস বজায় রয়েছে।
ভারতীয় সেনাপ্রধান এই বছর উভয় পক্ষের সীমান্তে সেনা উপস্থিতি এবং অবকাঠামো নির্মাণ অব্যাহত রাখার দিকে ইঙ্গিত করেছেন।’
ভারত এবং চীন একটি দীর্ঘ ও দুর্বল সীমানা ভাগাভাগি করে নিয়েছে। যেটি প্রায় ৩ হাজার ৮০০ কিলোমিটার (২,৪০০ মাইল) বিস্তৃত এবং ১৯৫০ সাল থেকে বিতর্কিত। ১৯৬২ সালে এই সীমানা নিয়ে তারা একটি সংক্ষিপ্ত কিন্তু নৃশংস যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল। ২০২০ সালে একটি মারাত্মক সীমান্ত সংঘর্ষের পর দুই দেশের সম্পর্ক আরো খারাপ হয়।
২০২৪ সালের চুক্তির মাধ্যমে কিছুটা স্থবিরতা কমে এবং সরাসরি বিমান চলাচল ও দ্বিমুখী ভ্রমণ পুনরায় শুরু হয়।
সূত্র : রয়টার্স

