২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৭:৫৫:১৫ পূর্বাহ্ন
চারঘাটে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৬-০৫-২০২২
চারঘাটে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ চারঘাটে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ভায়ালক্ষীপুর ইউনিয়নের ভায়ালক্ষীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানান অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলেছেন অভিভাবক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি সদস্যরা।


গত ১০ মার্চ ও পরবর্তীতে ২২শে মে উপজেলা নিবার্হী অফিসারের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন অভিভাবক ও কমিটির সদস্যরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির বিদ্যুৎসাহী সদস্য ইলিয়াস সরকার।


তিনি জানান, ১০ মার্চ ২০২২ ইং তারিখে ইতিপূর্বে অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা জাকিয়া সুলতানার বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর প্রেরণ করেছিলাম। যেমন- প্রধান শিক্ষিকা তার স্বামী ওয়াদুদ এবং তার দেবর আজিজুল হক মধুকে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য নির্বাচনে মিটিংয়ের সময় জঙ্গি মনোভাব এবং উশৃঙ্খলভাবে বুক চাপড়িয়ে প্রতিষ্ঠানের অফিস রুমে বলে যে, “আমরা জামাত শিবির করি, তোরা আওয়ামীলীগের লোকজন আমাদের পায়ের নিচে থাকবি”। এছাড়াও প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে।


এতসব অভিযোগ ও তথ্য উপাত্ত প্রদান করলেও দীর্ঘদিন যাবৎ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে পুনরায় ২২মে রবিবার চারঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার এবং গত ২৪ মে জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর অভিযোগটি প্রদান করা হয়েছে।


অভিযোগের সূত্র ধরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লিখিত অভিযোগের বাইরেও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা জাকিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে বিদ্যালয় কে নিজের বাড়ির মতো ব্যবহার, সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে খারাপ আচরণ, জমিদাতা মৃত-ডাক্তার হসরতুল্লাহ নিঃসন্তান হওয়ায় তাঁর ঘনিষ্ঠ আত্মীয় পরিজনদের সদস্য না করে ওই প্রধান শিক্ষিকা তার সুবিধার্থে নিজ পরিবারের সদস্যকে জমি দাতা হিসেবে সদস্যপদ প্রদান করেন।


নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক অভিভাবক জানান, এমন সব অভিযোগ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা জাকিয়া সুলতানা বিরুদ্ধে পরিষ্কার হাওয়াই এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে দুর্নীতি পরায়ন ও স্বেচ্ছাচারি এই শিক্ষিকাকে অপসারণ না করা হয় তাহলে যে কোনো সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে।


এ সকল বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

শেয়ার করুন