২৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, ০৭:৪৪:৩০ অপরাহ্ন
রাণীনগরে দুর্গাপূজার প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-০৯-২০২২
রাণীনগরে দুর্গাপূজার প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এ উৎসবকে ঘিরে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। আর মন্ডপে মন্ডপে চলছে সাজসজ্জার প্রস্তুতি। এ বছর রাণীনগর উপজেলা জুড়ে ৪৬ টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার দুর্গাপূজার মন্দিরে মন্দিরে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। দেবীদূর্গার প্রতিমা ছাড়াও কার্তিক, গনেশ, লক্ষ্মী ও সরস্বতীসহ অন্যান্য প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন প্রতিমা কারিগররা। বেশিরভাগ মন্দিরেই প্রতিমা তৈরিতে মাটির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। স্থানীয় কারিগর ছাড়াও বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত কারিগররা প্রতিমা তৈরি করছেন।

কারিগর নিরাঞ্জন চন্দ্র, নিমাই চন্দ্র ও দেবাশিষ জানান, আমরা প্রতি বছর প্রতিমা তৈরির কাজ করে থাকি। এ বছর করোনা পরিস্থিতি ভালো হওয়ায় সবাই বেশ ভালোভাবেই পূজার প্রস্তুতি নিয়েছে। সে কারণে প্রতিমা তৈরির কাজও বেড়েছে। এবার বেশ কয়েকটি মন্দিরের প্রতিমা তৈরি করছি। তারা বলছেন, প্রতিমাগুলো মনোমুগ্ধকর ও নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলতে সর্বো”চ মনোযোগ দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। প্রতিমা তৈরিতে মাটির কাজ শেষ পর্যায়ে। আর দুই-এক দিনের মধ্যে শুরু করা হবে রং-তুলির কাজ। পূজা শুরুর কয়েকদিন আগে রঙের কাজ শেষ করে মন্দির কমিটির কাছে প্রতিমা বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

রাণীনগর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অমল কৃষ্ণ সরকার বলেন, করোনার কারণে গত দুই বছর সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সীমিত আকারে দুর্গাপূজা করেছি। এবার যেহেতু করোনার তেমন প্রকোপ নেই, তাই ভালোভাবেই দুর্গাপূজা উদযাপনের প্রস্তুতি নিয়েছি। আগামী ১লা অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হবে এবং ৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হবে পূজা। তিনি বলেন, এ বছর রাণীনগর উপজেলায় সার্বজনীন ও ব্যক্তিগত মিলিয়ে ৪৬ টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। শারদীয় উৎসবকে সামনে রেখে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। আশা করছি আনন্দঘন ও জাঁকজমকপূর্ণ ভাবেই পূজা শেষ হবে।

রাণীনগর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, সনাতন ধর্মালম্বীরা যাতে নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপন করতে পারে সে জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। টহল পুলিশ, পোশাকধারী পুলিশ ও সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এছাড়া প্রতিটি মন্দিরে পুলিশের পাশাপাশি আনসার ও গ্রাম পুলিশ মোতায়েন করা হবে।

শেয়ার করুন