চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপার স্বাদ নতুন কিছু নয় আনচেলত্তির কাছে। গত রাতের ফাইনালের আগে তিনবার চ্যাম্পিয়নস লিগে জিতেছেন তিনি। রিয়াল মাদ্রিদেও এটি তার প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ নয়।
এত সব অর্জনের পরেও শনিবারের জয়টি আনচেলত্তির কাছে অনন্য। বিশ্বাস করতে পারছেন না বলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন তিনি।
প্যারিসে শনিবার রাতে লিভারপুলকে ১-০ হারিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের ১৪তম শিরোপা জয়ের রাতটা কার্লো আনচেলত্তির কাছে বিশেষ হয়ে থাকবে সব সময়।
এর অন্যতম কারণ এ শিরোপা জয়ের পর চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসে চারবার শিরোপা জেতা একমাত্র কোচ হয়ে গেলেন তিনি। ৬২ বছর বয়সি এই ইতালিয়ান কোচের এই কীর্তি আর কারো নেই।
দ্বিতীয় ম্যাচে পুরোটা সময়ই চাপে ছিল তার দল। সালাহ-মানেদের একের পর আক্রমণ সফল হলে কত গোল যে হজম করতে হতো তা বলাই বাহুল্য। রিয়ালের বেলজিয়ান গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়ার অতিমানবীয় পারফর্মেন্সে একবারও জালের দেখা পায়নি লিভারপুল।
যে কারণে গোটা ম্যাচে স্বস্তিতে ছিলেন না আনচেত্তলি। ডাগআউটে বসে সর্বক্ষণ স্নায়ুর চাপ কমাতে চুইংগাম চিবিয়ে গেছেন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধে ভিনিসিউস জুনিয়রের গোলের পরও উদ্বিগ্নই দেখা গেছে তাকে। শেষের বাঁশি বাজার আগ পর্যন্ত হাসি দেখা যায়নি বেনজেমাদের গুরুর মুখে।
সব মিলিয়ে জয়টাকে অবিশ্বাস্যই ঠেকেছে আনচেত্তলির কাছে। জয়ের পর পরই উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে আনচেত্তলি বললেন, ‘আমি তো তাহলে রেকর্ডম্যান!’
এ ইতালীয় ফুটবল ম্যানেজার বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। কঠিন একটা ম্যাচ ছিল। প্রথমার্ধে আমরা ভুগেছিলাম, কিন্তু শেষ পর্যন্ত (আমরা জিতেছি)…এবারে যে ম্যাচগুলো আমরা খেলেছি, আমি মনে করি, এই প্রতিযোগিতায় জয়ী হওয়ার যোগ্য আমরা। আমরা খুব খুশি। আর কি-ই বা বলতে পারি। এর বেশি কিছু বলতে পারব না। আমি মনে করি, আসলেই কঠিন সব ম্যাচ পার করে এসেছি আমরা। আগের ম্যাচে সমর্থকরা আমাদের খুবই সাহায্য করেছিল; আজ রাতেও তারা সাহায্য করেছে। আমরা খুশি এবং তারাও খুশি।’
জিদান-পেইজলিকে ছাপিয়ে নিজের ঐতিহাসিক রেকর্ড গড়ার বিষয়ে আনচেত্তলি বলেন, ‘আমি একজন রেকর্ড গড়া মানুষ। গত বছর এই দলে আসার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার এবং দারুণ একটা মৌসুম কাটালাম। রিয়াল চমৎকার একটি ক্লাব এবং আসলেই অনেক মানসম্পন্ন এবং শক্ত মানসিকতার খেলোয়াড় দিয়ে গড়া একটি দল।’