রাজশাহীর পুঠিয়ায় দুজন প্রতারক বিড়ালদহ বাজারের কসাইখানায় গিয়ে থানা পুলিশের পরিচয় দেয়। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নামে ৪৪ কেজি গরুর মাংস নিয়ে উধাও হয়েছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী হান্নান থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি বানেশ্বর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে।
হান্নান বলেন, সকালে অটোরিকশায় করে আমার কসাইখানায় এসে দুজন ব্যক্তি নিজেদের থানার পুলিশ সদস্য বলে পরিচয় দেন। তারা বারবার আমার শরীরে লাইট মারেন এবং বলেন ইউএনও স্যার মাংস নিতে আমাদের পাঠিয়েছেন। তার বাসভবনে একটি ছোট অনুষ্ঠান আছে। ৫০ কেজি গরুর মাংস লাগবে এবং একজন কসাই আমাদের সঙ্গে যেতে হবে। স্যারের বাসভবনে গিয়ে মাংসগুলো ছোট ছোট সাইজ করে দিতে হবে। আর কাজ শেষে বিল পরিশোধ করা হবে। পরে জবাইকৃত গরুর একটি অংশ ৪৪ কেজি, গরুর চারটি পা ও কসাইসহ তাদের সঙ্গে অটোতে তুলে দেওয়া হয়।
মাংসের মূল্যে ২৯ হাজার ৫০০ টাকা। এরপর ওই দুই ব্যক্তি পুঠিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এসে একজন বলেন, আমি মাংস নিয়ে স্যারের বাসভবনে যাব।
অপরজন বলেন, টাকা থানা থেকে দেওয়া হবে। টাকা আনতে ওই কসাইকে থানায় পাঠিয়ে দিয়ে তারা পালিয়ে যায়। পরে তাদের বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে রাত ৮টার দিকে থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে একটি প্রতারক চক্র ঘটনা ঘটাচ্ছে। কিন্তু আটক কিংবা অপরাধ করে ধরা পড়ছে না।
থানার ওসি সোহরাওয়াদী হোসেন বলেন, ভুক্তভোগী গতকাল রাতে থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। প্রতারণার বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ বলেন, প্রতারক চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে প্রতারণা করছে। এ বিষয়ে তিনি সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন।