২২ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ০৩:১২:৩৩ পূর্বাহ্ন
চবি থেকে ছাত্রলীগ নেতাসহ ১৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-০১-২০২৩
চবি থেকে ছাত্রলীগ নেতাসহ ১৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

সংঘর্ষ, ভাঙচুর, সাংবাদিককে মারধরসহ ছয়টি পৃথক ঘটনায় ১৭ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীসহ মোট ১৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কর্তৃপক্ষ। 

সোমবার রাত ৮টায় অনুষ্ঠিত বোর্ড অব রেসিডেন্স, হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিন কমিটির এক ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। 

মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে লিখিত আদেশের মাধ্যমে বিষয়টি জানায় কর্তৃপক্ষ। এ সভায় সভাপতিত্ব করেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার।

এ বহিষ্কারাদেশ সোমবারের সভা শেষ হওয়ার পর থেকেই কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বহিষ্কারাদেশ চলাকালীন কোনো শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা বা অন্য কোনো অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না।

গত বছরের ১১ আগস্ট রাতে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া হলে ছাত্রীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনায় ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের তাসফিয়া জান্নাত নোলককে দেড় বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি চবি ছাত্রলীগের উপ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক।

জন্মদিনের কেক কাটতে না যাওয়ায় গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সাংবাদিককে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্তার অভিযোগ ওঠে কয়েকজন ছাত্রলীগকর্মীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় দুই ছাত্রলীগকর্মীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতরা হলেন— লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আরশিল আজিম নিলয় ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শোয়েব মোহাম্মদ আতিককে।

গত ৮ অক্টোবর আলাওল হলের প্রভোস্ট কক্ষ ভাঙচুর ও প্রভোস্টকে হুমকির ঘটনায় সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের হাসান মাহমুদকে এক বছর এবং একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী শহিদুল ইসলামকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। তারাও ছাত্রলীগকর্মী বলে জানা যায়।

এছাড়া গত ২ ডিসেম্বর এ এফ রহমান হলে দেশীয় অস্ত্র হাতে দফায় দফায় সংঘর্ষ, হলের কক্ষ ভাঙচুর ও কর্তব্যরত প্রক্টর ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও হুমকির ঘটনায় ছয় জনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। 

তারা হলেন- সংস্কৃত বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের অনিক দাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের অয়ন কান্তি সরকার, একই বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের নাহিদুল ইসলাম, অর্থনীতি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের লাবিব সাঈদ ফাইয়াজ, ইতিহাস বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের সিফাতুল ইসলাম, একই বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মো. মোবারক হোসেন।

এছাড়া গত ৫ ও ৬ জানুয়ারি ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ ও দেশীয় অস্ত্রের মহড়ার ঘটনায় আরও ছয়জনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে প্রশাসন। 

তারা হলেন- ফাইন্যান্স বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের আমিরুল হক চৌধুরী, বাংলা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের মো. সাখাওয়াত হোসেন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মাহমুদুল হাসান ইলিয়াস, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ফাহিম, ইতিহাস বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. ইকরামূল হক, দর্শন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নয়ন দেবনাথ।

এছাড়া শাটল ট্রেনে নাশকতার পরিকল্পনা, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক সুনাম বিনষ্টের অভিযোগে আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মো. জোবায়ের হোসেনকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি ছাত্র অধিকার পরিষদের কর্মী বলে জানা যায়।

শেয়ার করুন