নওগাঁর মানবিক পুলিশের উদ্যোগে এক শিশু শিক্ষার্থী ওমর ফারুক (১২) ফিরে পেলো তার পরিবার। নওগাঁ সদর মডেল থানার এস আই আকবর জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১২ টারদিকে সদর উপজেলার হাপানিয়া বাজার (হাটে) অজ্ঞাত এক শিশুকে দেখতে পেয়ে এবং শিশুটির চলাফেরায় সন্দেহ হওয়ায় স্থানিয়রা মুঠোফোনে ঘটনাটি আমাকে জানালে আমি থানার ওসি জ্বনাব নজরুল ইসলাম স্যারকে অবগত করে ঘটনাস্থল হাপানিয়া বাজার (হাটে) পৌছে সেখানে উপস্থিত লোকজনের সামনে শিশুটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করি।
শিশুটি তার নামসহ পিতা ও মাতার নাম বলা পারলেও সে সময় তার বাড়ির ঠিকানা বা পরিবারের সদস্যদের কারো মোবাইল নম্বরও দিতে না পারায় শিশুটিকে ঘটনাস্থল থেকে দুপুরেই উদ্ধার করে থানায় এনে খাবার দিয়ে সু-কৌশলে শিশুটির সাথে কথা বলে তার ঠিকানা সংগ্রহ করার চেষ্টাকালে প্রথমে সে মান্দা উপজেলা ও মহাদেবপুর উপজেলার কথা বলেন। যার কারনে মান্দা ও মহাদেবপুর থানায় খোঁজনিয়ে কোন মিছিং ঘটনা নেই জানতে পেরে আমি শিশুটির সাথে আবারো কথা বলার এক পর্যায়ে শিশুটি জানায় সে "নিন্দইন" পয়না এলাকায় একটি মাদ্রাসাতে লেখাপড়া করতো এবং সে প্রায় ১ মাস পূর্বে বাড়ি থেকে বের হয়ে এসেছেন।
এতথ্যর ভিত্তিতে নওগাঁ সদর উপজেলার বলিহার ইউপির "নিন্দইন" পয়না এলাকায় খোঁজ নিলে জানতে পারি পয়না গ্রাম থেকে হেলাল নামে জৈনক ব্যাক্তির মাদ্রাসা পড়ুয়া শিশু নিখোঁজ হয়েছেন এবং শিশুটিকে উদ্ধারে তার পিতা, মাতাসহ পরিবারের লোকজন খোঁজাখুজি করছেন। এর পরই শিশুটির পরিবারকে খবর দেওয়া হলে উদ্ধারকৃত শিশু ওমর ফারুক এর পিতা হেলাল, মাতা মঞ্জুয়ারা বেগম, চাচাত বড় ভাই মেহেদি হাসান ও শিশুর নানা মোঃ সাদেক আলী প্রাং থানায় উপস্থিত হয়ে শিশুকে সনাক্ত করেন, এসময় শিশু ওমর ফারুকও তার পিতা, মাতা, নানা ও চাচাত ভাইকে সনাক্ত পরিচয় নিশ্চিত করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি নজরুল ইসলাম জুয়েল প্রতিবেদককে বলেন, শিশুটিকে উদ্ধার করে থানায় আনার পরই বিভিন্ন কৌশলে তার নাম পরিচয় সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে এবং শিশুর পিতা ও মাতা সহ স্বজনরা থানায় এলে প্রথমে সনাক্ত করার পর সন্ধার পূর্বেই উদ্ধারকৃত শিশু শিক্ষার্থী ওমর ফারুককে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
হারানো শিশু সন্তানকে ফিরে পেয়ে তার পিতা ও মাতা প্রতিবেদককে বলেন, আমাদের শিশুকে পাগলের মতো হয়ে আমরা খুজছিলাম, অবশেষে থানা পুলিশ শিশুটিকে রাস্তায় পেয়ে উদ্ধার করে আমাদের দিয়েছেন আল্লাহ যেন পুলিদের ভালো রাখেন।
নওগাঁ সদর মডেল থানা পুলিশের এমন মানবিকতায় সাধুবাদ জানিয়েছেন সচেতন মহল।