যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে সন্দেহভাজন চীনা নজরদারি বেলুন শনাক্ত, যে বেলুন গত কিছু দিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার ওপর দিয়ে উড়তে দেখা গেছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন।
অনেক উঁচু দিয়ে উড়ে যাওয়া ওই ‘নজরদারি বেলুন’ যে চীনের, সে বিষয়ে অনেকটা নিশ্চিত পেন্টাগনের কর্মকর্তারা। খবর বিবিসির।
সবশেষ যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলীয় স্টেট মনটানায় ওই ‘নজরদারি বেলুন’ উড়তে দেখার কথা জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। তবে তারা সেটি গুলি করে ভূপাতিত করার সিদ্ধান্ত নেননি। কারণ ওই বেলুন নেমে এলে সেটি নিচের জনবসতিতে ক্ষতির হতে পারে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেলুন নিয়ে সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে অবহিত করা হয়েছে। তবে চীনের তরফ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের আসন্ন চীন সফরের আগে ওই চীনা বেলুনের বিষয়টি আলোচনায় এলো। আগামী সপ্তাহে চীন সফর করবেন ব্লিঙ্কেন।
পেন্টাগনের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যাট্রিক রাইডার বলেন, গত কয়েক বছর ধরেই চীনের এ ধরনের কার্যক্রম তারা লক্ষ্য করে আসছেন। আগের সরকারের সময়ও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
তিনি বলেন, বেলুনটি এখন বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ চলাচল সীমার ওপর দিয়ে উড়ে বেড়াচ্ছে। ফলে ওইসব এলাকায় বসবাসকারী নাগরিকদের জন্য শারীরিক ও সামরিক কোনো ঝুঁকি আপাতত দেখা যাচ্ছে না।
যুক্তরাষ্ট্রের অনেকেই আকাশে ধূসর রঙের ওই বেলুন ওড়ার ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। চাঁদের পাশাপাশি আরেকটি চাঁদের মতো দেখতে বিশাল বস্তুর উপস্থিতিতে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অনেকে। কেউ আবার বেলুনটি ঘিরে মার্কিন জেট ফাইটার ওড়ার ভিডিও শেয়ার করেছেন।
মার্কিন কর্তকর্তারা বলছেন, বেলুনটি যে এলাকায় উড়ছে, সেখানে বিমানঘাঁটি ও কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি রয়েছে। তবে যে উচ্চতা দিয়ে সেটি উড়ছে, তাতে গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে– তেমন সম্ভাবনা নেই। পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা গোয়েন্দা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বরং চীন এর চেয়ে ভালো তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম।