২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৮:২৬:১০ অপরাহ্ন
পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চলবে ১০ অক্টোবর
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৬-০৯-২০২৩
পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চলবে ১০ অক্টোবর

আগামী ১০ অক্টোবর পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হবে, ওই দিন এ রেল চলাচলের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রেলওয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা সিরাজ উদ দৌলা ভোরের কাগজকে এ তথ্য জানান। তবে উদ্বোধনের এক সপ্তাহ পর থেকে শুরু হবে যাত্রীসহ ট্রেন চলাচল শুরু হবে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল আহসান।


রেলওয়ের মহাপরিচালক জানান, প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুদিয়ে ট্রেন চলাচলের শুভ সূচনা করবেন ১০ অক্টোবর। যদিও এর কয়েকদিন পরে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে আগামী নভেম্বরের শুরুতে পদ্মা সেতু দিয়ে ছয়টি যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।


বর্তমান ট্রেনের যে ভাড়া নির্ধারণ করা আছে সেই ভাড়াই আসন ভেদে প্রযোজ্য হবে বলে তিনি বলেন, যে ছয়টি ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে এর মধ্যে-খুলনা-ঢাকা রুটের দুটি আন্তঃনগর ট্রেন-সুন্দরবন ও চিত্রা, ঢাকা-বেনাপোল রুটের বেনাপোল এক্সপ্রেস বর্তমান রুট পরিবর্তন করে পদ্মা সেতু ঢাকায় চলাচল করবে। এদিকে ঢাকা-কলকাতা রুটের আন্তর্জাতিক ট্রেন মৈত্রী এক্সপ্রেসও রুট পরিবর্তন করে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় চলাচল করবে।


এছাড়া রাজশাহী থেকে গোপালগঞ্জ পর্যন্ত চলাচল করা আন্তঃনগর ট্রেন মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনটিকেও রাজশাহী থেকে ভাঙ্গা হয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকায় আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানান ডিজি।

এদিকে খুলনা থেকে গোয়ালন্দ রুটে চলাচলকারী মেইল ট্রেন নকশিকাঁথা এক্সপ্রেসকে ভাঙ্গা হয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকায় আনার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।


রেল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হলে বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু দিয়ে স্লট খালি হবে। তারপরই কেবল এ রুটে নতুন ট্রেন চালু করা সম্ভব হবে।ট্রেনের সময়ও বাচবে।


এ বিষয়ে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, পদ্মা সেতু হয়ে রেলপথ উদ্বোধনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০ অক্টোবর সময় দিয়েছেন। সেদিন একটি সুধী সমাবেশও অনুষ্ঠিত হবে। আর ২০২৪ সালের জুন মাসে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত পুরো পথে ট্রেন চলাচল শুরু করতে পারবে। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় চীনা নির্মিত ১০০টি আধুনিক ব্রডগেজ প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ বা কোচ কেনা হয়েছে। ক্যারেজগুলোর মধ্যে শোভন চেয়ার ২৫টি, এসি চেয়ার ৩৫টি, এসি কেবিন ১৫টি, ডাইনিং কার কাম গার্ডব্রেক- ১৫টি ও পাওয়ার কার- ১০টি।


এরমধ্যে চিত্রা এক্সপ্রেস, সুন্দরবন এক্সপ্রেস, বেনাপোল এক্সপ্রেস এবং চিলাহাটি এক্সপ্রেস এর জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে ৭০ টি কোচ। অবশিষ্ট রয়েছে ৩০ টি কোচ যার কমিশনিং ও ট্রায়াল রান সম্পন্ন হয়েছে। এই ৩০ টি কোচ ব্যবহৃত হবে ২টি ট্রেনে।


প্রসঙ্গত, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ঢাকার কমলাপুর থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত দীর্ঘ ১৭২ কিলোমিটার রেললাইন নির্মিত হচ্ছে। যার মধ্যে ঢাকা থেকে ভাঙা পর্যন্ত ৮২ কিমি রেলপথ শেষ হয়েছে।

প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে ঢাকা-মাওয়া ৪০ কি.মি. ও মাওয়া-ভাঙ্গা ৪২ কিলোমিটার রেলপথ উদ্বোধন করা হবে আগামর ১০ অক্টোবর। আর প্রকল্পের তৃতীয় অংশের ভাঙ্গা-যশোর ৯০ কি.মি. রেললাইন নির্মাণ কাজ ২০২৪ সালের জুনে শেষ হবে। এ অংশের কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৭৮ ভাগ।


শেয়ার করুন