২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৬:৫২:০৮ অপরাহ্ন
রাজশাহীর বাজারে রসে ভরা লিচু মন কাড়ছে ক্রেতাদের
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-০৫-২০২২
রাজশাহীর বাজারে রসে ভরা লিচু মন কাড়ছে ক্রেতাদের রাজশাহীর বাজারে রসে ভরা লিচু মন কাড়ছে ক্রেতাদের

মধুমাস পড়েছে সদ্যই। এরই মধ্যে রাজশাহীর বাজারে উঠতে শুরু করেছে ‘অতিথি’ ফল খ্যাত লিচু। ‘বোম্বাই’ জাতের লিচু বিক্রি হতে দেখা গেছে রাজশাহীর বাজারে।


লাল টসটসে বা হালকা হলুদ রঙের পাকা লিচুর সমাহার বসেছে রাজশাহী নগরীসহ জেলার বিভিন্ন বাজারে। আহ্লাদি ফল বলে পরিচিত লিচু গাছ থেকে পেড়ে সোজা বাজারে আনছে বিক্রেতারা। আর রসে ভরা সেই টাটকা লিচু কাড়ছে ক্রেতাদের মন। বিক্রিও হচ্ছে প্রচুর।


যদিও রাজশাহীর বাজারগুলোতে দুই সপ্তাহ ধরে লিচু আসতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে ৮-৯ দিন ধরে বোম্বাই জাতের লিচুও আসতে শুরু করেছে। বোম্বাই জাতের চেয়ে গুটি লিচুর স্বাদই টানছে ক্রেতাদের। কারণ বোম্বাই জাতের লিচু পরিপক্ব হতে আরো কয়েক দিন অপেক্ষা করতে হবে। তবে তার আগেই লাল রং দেখে মুনাফালোভী বিক্রেতারা বাজারে আনছে এ জাতের লিচু।


রাজশাহীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মানভেদে বর্তমানে ১০০টি লিচু সর্বোচ্চ বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৭০ টাকা দরে। গত বছর একই সময়ে এই রকম দামই ছিল।


এদিকে, মহানগরীর সাহেববাজার লিচু বিক্রেতা শাহ আলম জানান, বাজারে দেশি লিচু প্রায় শেষ কেনাবেচা কম। এ লিচু কখনো কখনো একটু টক ও মিষ্টি হয়। আবার কোনো কোনো জাতের লিচু একেবারেই মিষ্টি। এ জাতের লিচুর দানার চেয়ে আঠি একটু বেশি মোটা হয় বলে এটিকে আঠি লিচু বলা হয়। তবে বোম্বাই জাতের লিচুর দানার চেয়ে আঠি অনেকটা ছোট হয় বলে এ জাতের লিচুর চাহিদা বেশি। বাজারে বোম্বাই জাতের লিচু উঠতে শুরু করেছে। কয়েকদিনের মধ্যে এই লিচুতে বাজার ভরে উঠবে। তখন লিচুর বাজার জমজমাট হবে।




সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, লিচু বিক্রির জন্য প্রতিবছরই রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বসে অস্থায়ী দোকান। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। নগরীর রেলগেট, নিউ মার্কেট, উপশহর, লক্ষ্মীপুর, সাহেববাজার, শালবাগান, নওদাপাড়া, কোর্টবাজারসহ বিভিন্ন বাজারে বসেছে শতাধিক দোকান। আবার ভ্যানে করেও পাড়ায় পাড়ায় এবং মসজিদ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে বিক্রি হচ্ছে লিচু।


রাজশাহীর সাহেববাজারের লিচু ব্যবসায়ী মামুন জানান, বর্তমানে প্রতিদিন তিনি অন্তত ১৫ হাজার লিচু বিক্রি করছেন। ১০০টি লিচু বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৭০ টাকা দরে। রাজশাহীর পবা, দুর্গাপুর ও পুঠিয়ার বিভিন্ন গ্রামের বাগান থেকে এই লিচুগুলো সংগ্রহ করে আনেন তিনি। আবার কখনো কখনো বাগান থেকেই লিচুর মৌসুমে গাছচুক্তি লিচু কিনে বাজারে বিক্রি করেন তিনি।


তিনি আরো বলেন, ক্রেতারা বেশ আগ্রহ নিয়েই লিচু দেখছেন। নতুন ফল হিসেবে পরিবার-পরিজনের জন্য বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন। কেউ বা আবার কুরিয়ার সার্ভিসে করে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে থাকা সন্তান বা আত্মীয়-স্বজনদের জন্য পাঠাচ্ছেন।


সকালে মহানগরীর সাহেববাজারে লিচু কিনছিলেন শিরোইল এলাকার মোক্তার হোসেন। তিনি জানান, মেয়ের বাড়ি বেড়াতে যাচ্ছেন। যাওয়ার পথে নাতি-নাতনিদের জন্য নিয়ে যাচ্ছেন টসটসে রসালো ফল লিচু।


লিচু  ক্রেতা বেলাল হোসেন জানান, বছরের সুস্বাদু ফল হলো লিচু তাই  কাজ শেষে ছেলে মেয়েদের জন্য লিচু কিনছি প্রথম দিকে দাম বেশি থাকলেও এখন তা সাধ্যের মধ্যেই আছে ।


শেয়ার করুন