রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার খাড়ইল ছুট বিলের পতিত, নীচু ও অনাবাদি জমিতে পুকুর খনন করতে গিয়ে এলাকার এক প্রভাবশালীর বাধার মুখে বন্ধ রয়েছে খনন কাজ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রভাবশালী ব্যাক্তি উপজেলার খাড়ইল গ্রামের মৃত জহির মন্ডলের ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা আমজাদ হোসেন। প্রতিকার চেয়ে মোহনপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভোক্তভুগী জমির মালিক একই এলাকার আলাউদ্দিন খাঁন। বর্তমানে বাঁধার সম্মখীন হয়ে দিশেহারা জমির মালিক।
অভিযোগ সূত্রে আরো জানা যায়, মোহনপুর উপজেলার ধামিনপাড়া গ্রামের মৃত দবির খাঁনের পুত্র আলাউদ্দিন খাঁনসহ ৬ ভাই এর একই এলাকার মীরপুর মৌজার জেএল নং ৩২৬, দাগ নং ১, বিল শ্রেণীর ১৪ বিঘা জমি রয়েছে। উল্লেখিত ওই ডোবা জমিতে কখনোই কোন ধরনের চাষাবাদ করা সম্ভব হয়না।
এতে দীর্ঘদিন অনাবাদি থাকায় মাছ চাষের লক্ষে পুকুর খনন করতে গেলে পার্শের খাড়ইল গ্রামের মৃত জহির মন্ডলের ছেলে প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতা আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে ৬ জনের একটি দল পুকুর খননে বাঁধা প্রধান করেন।
অন্যথায় তারা মাসোহারা দাবি করেন। ওই নেতার দাবী পূরণ করতে ব্যর্থ হলে তার বাহিণী লেলিয়ে দিয়ে ভেকু গাড়ি (এক্সেভেটর) ভাংচুরসহ কাজ বন্ধ করে দেন।
ভোক্তভুগি জমির মালিক আলাউদ্দিন খাঁন বলেন, আমাদের পৈতিক অনাবাদি ও পতিত জমিতে পুকুর খনন করতে গেলে খাড়ইল গ্রামের মৃত জহির মন্ডলের ছেলে ও মোহনপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের হাইব্রিড নেতা আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে কয়েকজন এসে আমার নিকট কিছু মাসোহারা দাবী করেন।
তাদের চাহিদা পূরণ করতে না পারায় সন্ত্রাসী কায়দায় গাড়ি ভাংচুর করে আমার পুকুরের কাজ বন্ধ করে দেন। এঘটনায় গত ১৬ জুন মোহনপুর থানায় আমজাদ হোসেনসহ মোট ৬ জন কে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।
এবিষয়ে মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এবিষয়ে আমজাদ হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ হয়েছে, তা আমি শুনেছি। আমি অত্র এলাকার আওয়ামী লীগের নেতা।
আমি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে আগ্রহী না। তবে আমি ঘটনাটি ঘটায়নি।