ঈদকে কেন্দ্র করে প্রতি বছরের মতো এবারো অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামলাতে হবে রেল কর্তৃপক্ষকে। এসব দিক বিবেচনা করে আগামীকাল শুক্রবার (৫ এপ্রিল) থেকে সারাদেশে আট জোড়া বিশেষ ট্রেন চলাচল করবে।
কমলাপুর রেলস্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিনের পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
মাসুদ সারওয়ার বলেন, এবারের ঈদযাত্রায় সবকিছু নিয়মতান্ত্রিকভাবে চলছে। আশা করি, এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। শেষ মুহূর্তে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও পোশাক কারখানা ছুটি হলে যাত্রীর চাপ বেড়ে যাবে সেদিক লক্ষ্য রেখে কাল থেকে সারাদেশে আট জোড়া বিশেষ ট্রেন চলাচল করবে।
ঈদের আগে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ কীভাবে সামাল দেওয়া হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের স্টেশনের গেটে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে।
টিকিটের বাইরে কাউকেই আমরা প্রবেশ করতে দেবো না। জনস্রোত সামাল দেওয়ার জন্য আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নোটিশ করেছি। আমরা যেহেতু নিরস্ত্র তারা আমাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।
তিনি আরো বলেন, হঠাৎ রেলের ইঞ্জিনে সমস্যা হলে আমাদের অতিরিক্ত ইঞ্জিনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। অতিরিক্ত লোকোমোটিভও রয়েছে। আশা করছি শেষ মুহূর্তে যেন নির্ঝঞ্ঝাট ঈদযাত্রা উপহার দিতে পারি।
সারাদেশে রেলস্টেশনগুলোর পরিস্থিতি জানিয়ে স্টেশন ম্যানেজার বলেন, মোবাইল কোর্টে সার্বক্ষণিক মনিটরিং চলছে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা স্টেশনগুলোর খোঁজ-খবর রাখছেন। তবে এখন ঝড়-বৃষ্টি চলে। প্রায়ই রেললাইনের ওপর গাছ পড়ে থাকে। তাতে আমাদের হাত থাকে না।
জানা গেছে, আট জোড়া বিশেষ ট্রেন চলাচল করবে চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল (১ ও ৩) চট্টগ্রাম-চাঁদপুর; চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল (২ ও ৪) চাঁদপুর-চট্টগ্রাম; ময়মনসিংহ ঈদ স্পেশাল (৫ ও ৬) চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম; দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল (৭ ও ৮) ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রুটে ৫ এপ্রিল থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এবং ঈদের পরে ৫ দিন চালানো হবে।
এছাড়াও কক্সবাজার ঈদ স্পেশাল (৯ ও ১০) চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে ঈদের আগে (৮ ও ৯) এপ্রিল ও ঈদের পরের দিন থেকে তিনদিন চলাচল করবে।