২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৮:২৫:৪৩ অপরাহ্ন
আমরা বাঁধের মুখ খুলিনি, একা একা খুলে গেছে: ভারত
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-০৮-২০২৪
আমরা বাঁধের মুখ খুলিনি, একা একা খুলে গেছে: ভারত

বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ভারতের কোনও বাঁধের মুখ খুলে দেওয়া হয়নি; বরং অতিরিক্ত পানির চাপের কারণে এটি খুলে গেছে। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকালে নয়াদিল্লি থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।


ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ত্রিপুরার গোমতী নদীর উজানে ডুম্বুর বাঁধ খুলে দেয়ায় বাংলাদেশের পূর্ব সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে বাংলাদেশে উদ্বেগ প্রকাশিত হয়েছে। তবে এটি সঠিক নয়।




নয়াদিল্লির দাবি, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত গোমতী নদীর ক্যাচমেন্ট (অববাহিকা) এলাকায় কয়েক দিন ধরে এই বছরের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। বাংলাদেশের বন্যার মূল কারণ হচ্ছে বাঁধের নিচের বিশাল ক্যাচমেন্ট এলাকার পানির বৃদ্ধির ফলাফল।


বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, ডুম্বুর বাঁধটি সীমান্ত থেকে বেশ দূরে, বাংলাদেশের ১২০ কিলোমিটারও বেশি উজানে অবস্থিত। এটি একটি কম উচ্চতার (প্রায় ৩০ মিটার) বাঁধ, যা বিদ্যুৎ উৎপাদন করে ভারতীয় গ্রিডে সরবরাহ করে এবং বাংলাদেশও এখান থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পায়।


ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করেছে যে, প্রায় ১২০ কিলোমিটার নদীপথে অমরপুর, সোনামুড়া এবং সোনামুরা ২-এর তিনটি জলস্তর পর্যবেক্ষণ সাইট রয়েছে। গত ২১ আগস্ট থেকে ত্রিপুরা এবং পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশের জেলাগুলোতে ভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে, ফলে অতিরিক্ত পানিপ্রবাহের কারণে স্বয়ংক্রিয় ‘রিলিজ’ পরিলক্ষিত হয়েছে।


বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার অভিন্ন নদীগুলোতে বন্যা একটি যৌথ সমস্যা, যা উভয় পক্ষের জনগণের জন্যই দুর্ভোগ সৃষ্টি করে। এ সমস্যার সমাধানের জন্য ঘনিষ্ঠভাবে পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।


‘যেহেতু দুই দেশে ৫৪টি আন্তঃসীমান্ত নদী রয়েছে, তাই নদীগুলোর পানি সহযোগিতা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমরা দ্বিপাক্ষিক পরামর্শ ও প্রযুক্তিগত আলোচনার মাধ্যমে পানিসম্পদ এবং নদীর পানি ব্যবস্থাপনার সমস্যা ও পারস্পরিক উদ্বেগ সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’


শেয়ার করুন