পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সীমান্ত অঞ্চলে বন্দুকধারীরা একটি গাড়িতে গুলি চালিয়ে একজন সরকারপন্থী সশস্ত্র দলের নেতাসহ মোট ছয়জনকে হত্যা করেছে এবং এরপর তাদের মরদেহ পুড়িয়ে দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে বুধবার এ হামলাটি ঘটে। প্রতিবেশী আফগানিস্তানে ২০২১ সালে তালেবানরা ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে এ অঞ্চলে সহিংসতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রবীণ প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এএফপিকে বলেন, বন্দুকধারীরা ভুক্তভোগীদের ওপর গুলি চালানোর পর তাদের গাড়িতে জ্বালানি তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘হামলাকারীরা ভয় ছড়ানোর জন্য গাড়িটিতে আগুন লাগিয়ে দেয়, এতে ছয়জন ভুক্তভোগীর মরদেহ সম্পূর্ণভাবে ঝলসে যায়।’
এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে ওই কর্মকর্তা জানান, তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)—অর্থাৎ পাকিস্তানি তালেবান— ওই নেতার কাছে চাঁদা দাবি করেছিল।
তিনি সেই চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় প্রতিশোধ হিসেবে তাকে হত্যা করা হয়।
পাকিস্তান অভিযোগ করে আসছে, আফগানিস্তানের তালেবান কর্তৃপক্ষ টিটিপি যোদ্ধাদের আশ্রয় দিচ্ছে এবং সেখান থেকে আন্তঃসীমান্ত হামলা চালানোর সুযোগ দিচ্ছে। যদিও কাবুল তা অস্বীকার করে।
চলতি মাসের ৯ অক্টোবর কাবুলে একটি বিস্ফোরণকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়, যাতে উভয় পক্ষের ডজনখানেক বেসামরিক ও সেনা নিহত হন।
এর জের ধরে দুই দেশের সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়। আফগানিস্তানের তালেবান সরকার সেই বিস্ফোরণের জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে এবং সীমান্তের ওপারে প্রতিশোধমূলক হামলা চালায়।
তবে সপ্তাহান্তে মধ্যস্থতার মাধ্যমে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে এবং বৃহস্পতিবারও তা কার্যকর ছিল। আগামী শনিবার তুরস্কতে পাকিস্তানি এবং আফগান কর্মকর্তাদের বৈঠকে বসার কথা রয়েছে।