২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৯:৫২:৩৭ অপরাহ্ন
গোদাগাড়ী খাদ্য কর্মকর্তাকে তথ্য দিতে কমিশনের কড়া নির্দেশ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-০৮-২০২২
গোদাগাড়ী খাদ্য কর্মকর্তাকে তথ্য দিতে কমিশনের কড়া নির্দেশ

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামকে তথ্য অধিকার আইনে আবেদনকরীকে আগামী ২০ দিনের মধ্যে তথ্য দিতে কড়া নির্দেশনা প্রদান করেছেন তথ্য কমিশন।

জানা যায়, গোদাগাড়ী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বরাবর গত ১৬ মার্চ গোদাগাড়ী পৌর এলাকার আব্দুল বাতেন বিভিন্ন তথ্য চেয়ে আবেদন করেন। তথ্য অধিকার আইন (২০০৯) অনুযায়ী ২০ কার্যদিবসের মধ্যে তথ্য দেওয়ার নিয়ম থাকলেও তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শফিকুল ইসলাম আবেদন কারীকে তথ্য প্রদান করেননি।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদনকারী খাদ্য কর্মকর্তার সাথে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: জানে আলমের উপস্থিতিতে যোগাযোগ ও তথ্য দেওয়ার বিষয়টি অবগত করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে তথ্য দিতে নির্দেশ দিলেও তা কর্ণপাত করেননি।

পরে তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী আবেদনকারী রাজশাহী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বরাবর গত ১৭ এপ্রিল তথ্য পাওয়ার জন্য আপিল করেন। জেলা খাদ্য কর্মকর্তা দিলদার মাহমুদ আপিল আবেদন পাওয়ার পর গত ১৮ মে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে ২২ মের মধ্যে তথ্য দিতে চিঠি দেয়। এই চিঠির আদেশ অমান্য করে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ শফিকুল ইসলাম আবেদন করীকে তথ্য না দিয়ে নানান টালবাহানা শুরু করে।

পরে আবেদনকারী তথ্য অধিকার আইন অনুসারে প্রধান তথ্য কমিশনার বরাবর গত ৩ জুলাই অভিযোগ দায়ের করেন। তথ্য কমিশন অভিযোগ পাওয়ার পর তা আমলে নিয়ে নিষ্পত্তির জন্য গত ২২ আগস্ট শুনানির দিন ধার্ষ করে সমন জারি করে। এতে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শফিকুল ইসলাম ও তার সহয়োগী হিসেবে খাদ্য পরিদর্শক শফিউর রহমান ও অভিযোগকারী আব্দুল বাতেন ভার্চুয়ালী শুনানিতে অংশ গ্রহণ করেন।

প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমদন ও তথ্য কমিশনার সুরাইয়া বেগম উভয়ের বক্তব্য শুনেন। শুনানিতে উপজেলা খদ্য নিয়ন্ত্রক শফিকুল ইসলামকে প্রধান তথ্য কমিশনার আবেদনকরীকে কেনো তথ্য দেওয়া হয়নি তা জানতে চাওয়া হলে প্রথমে তা অস্বীকার করে বলেন তিনি কোন তথ্য চাননি, আমাদের সাথে যোগাযোগ করেননি।

পরে তথ্য কমিশনারের প্রশ্নের তোপে পড়ে বিষয়টি স্বীকার করেন বলেন আবেদনকরী আমাদের সাথে আর যোগাযোগ করেননি। সেই সময় প্রধান তথ্য কর্মকর্তা পুনরায় প্রশ্ন করেন আবেদনকরীকে তথ্য প্রদানের জন্য ডেকেছেন এমন এমন চিঠি দেখান। এই সময় খাদ্য কর্মকর্তা তা দেখাতে পারেননি। পরে আবেদন কারীকে প্রধান তথ্য কর্মকর্তা এসব বিষয়ে জানতে চাইলে তা ডকুমেন্টস সহ বক্তব্য পেশ করেন।

তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শফিকুল ইসলাম ও খাদ্য পরিদর্শকের শফিউর রহমানের কথার সত্যতা না পেয়ে প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মরতুজা আহমেদ আগামী ২০ দিনের মধ্যে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শফিকুল ইসলামকে আবেদনকারী আব্দুল বাতেনকে তথ্য দিতে কড়া নির্দেশনা প্রদান করেন।

এই বিষয়ে গোদাগাড়ী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শফিকুল ইসলাম তথ্য কমিশনের শুনানিতে অংশগ্রহণ ও আগামী ২০ দিনের মধ্যে প্রধান তথ্য কমিশনারের তথ্য দেওয়ার নির্দেশনা স্বীকার করে বলেন,আবেদনকারীকে তথ্য দেওয়ার জন্য সকল প্রক্রিয়া প্রস্তুত করা হচ্ছে এবং তাকে ডাকা হবে বলে জানান।

শেয়ার করুন