রাজশাহীর বাগমারায় বুধবার পুলিশের অভিযানে পৃথক মামলায় ১৫জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে ২৫ গ্রাম গাঁজা সহ শ্রী বিমলকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে দামনাশ কর্মকারপাড়া গ্রামের মৃত সতীশ চন্দ্রের ছেলে। সেই সাথে ১০ লিটার চোলাই মদসহ ছাইদুর রহমান সরদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। ছাইদুর রহমান কোনাবাড়িয়া গ্রামের মৃত মেহের আলী সরদার ছেলে।
অপরদিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের নিয়মিত মামলার এজাহারনামীয় মূল আসামি করখন্ড গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে আব্দুল মান্নানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অন্যদিকে বুধবার ভবানীগঞ্জ রেজিস্ট্রি অফিসে ৬ বছর আগে ছোট ছেলেকে বাবার গোপনে লিখে দেয়া ১২ বিঘা জমি অপর সন্তানেরা প্রাপ্য জমি ফেরত পাওয়া নিয়ে আপন ও বৈমাত্রেয় ভাই বোন পরস্পর মারমুখি অবস্থান নেয় এবং বিশৃংখলা সৃষ্টি করে। পরে দলিল লেখক সমিতির অভিযোগের ভিত্তিতে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৫১ ধারায় ৪ ভাই ও ১ বোন মোট ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো গোবিন্দপাড়া গ্রামের লছির উদ্দীনের ছেলে জাকিরুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম এবং জোসনা বেগম।
এছাড়াও পরোয়ানাভুক্ত আসামীরা হলেন, উপজেলার দক্ষিণ মাঝগ্রামের মৃত কালু প্রামানিকের ছেলে মমতাজ হোসেন, দামনাশ গ্রামের মৃত নলিনের ছেলে শিরিস কুমার, একই গ্রামের মৃত সতীশের ছেলে ললিন, মৃত মরু বালার ছেলে রবি বালা, শিরিসের স্ত্রী দিপালী রানী এবং মচমইল গ্রামের পলানের স্ত্রী কমেলা রানী।
এদিকে ২ মামলায় ৩ মাস করে সাজাপ্রাপ্ত আসামী ওয়াজেদ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মোট ৯টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে আরো ৭ মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামী সে। গ্রেপ্তার ওয়াজেদ আলী বড় বিহানালী ইউনিয়নের কুলিবাড়ি গ্রামের ওসমান আলীর ছেলে। তিন মাসের সাজা থেকে বাঁচতে গত প্রায় চার বছর ধরে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা বোর্ড বাজার এলাকা সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। দীর্ঘদিন পর বাগমারায় বেড়াতে আসামাত্র গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম।