বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশেষ অবদান রাখার জন্য কয়েকজন জাপানি নাগরিককে সম্মাননা দেয়া হবে। এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টোকিও সফরের সময়ে ওই সম্মাননা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে চার থেকে ছয়জনকে ‘ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ’ সম্মাননা দেয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র।
জানা গেছে, ১৯৭১ সালে জাপান সরকার যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র হলেও দেশটির জনগণ, বিভিন্ন পেশাজীবী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করেছিলেন। দেশটির রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, সাংবাদিক, ছাত্র, বুদ্ধিজীবী, সামরিক বাহিনীর সদস্যসহ অনেকেই মুক্তিকামী বাঙালিদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এ কারণে বাংলাদেশ তাদের স্বীকৃতি দিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও দেবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ওই সহযোগিতার স্বীকৃতি দিয়েছিলেন এবং ১৯৭৩ সালে তার টোকিও সফরের ওপর ভিত্তি করে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক দাঁড়িয়ে আছে। এর আগে ৮ জন জাপানিকে সম্মাননা দেয়া হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার জাপানে ওই বিদেশি বন্ধুদের হাতে সম্মাননা তুলে দেয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এ বছর যাদের সম্মাননা দেয়া হতে পারে তাদের মধ্যে রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, চিত্রগ্রাহক, রেড ক্রস স্বেচ্ছাসেবক, শিক্ষাবিদসহ অন্যান্য পেশার লোক রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, বিদেশি বন্ধুদের সম্মাননা দিয়ে থাকেন প্রেসিডেন্ট অথবা প্রধানমন্ত্রী। এর আগে সাতবার সম্মাননা দেয়া হয়েছে বিদেশি বন্ধুদের। ওই সময়ে একটি প্রশংসা সনদ, কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ মানপত্র ও সোনার একটি ক্রেস্ট দেয়া হয়েছে। জাপানি বন্ধুদের জন্য এসবের পাশাপাশি জাপানি ভাষায় বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত জীবনীসহ কয়েকটি বই এবং কিছু উপঢৌকন দেয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।