২২ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ০৩:৪৭:০২ পূর্বাহ্ন
খুলনা থেকে রাজশাহী রুটে এসি ট্রেন বন্ধ
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-০৭-২০২৩
খুলনা থেকে রাজশাহী রুটে এসি ট্রেন বন্ধ

খুলনা আধুনিক রেলস্টেশন থেকে রাজশাহী ও চিলাহাটীগামী রুটের তিনটি এক্সপ্রেস ট্রেনের সব এসি সার্ভিস বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে যাত্রী দুর্ভোগ বেড়েছে। তীব্র গরমের মধ্যে এসি সার্ভিস বন্ধ হওয়ার পেছনে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের অবহেলাকে দুষছেন ভুক্তভোগীরা। তবে কর্তৃপক্ষের দাবি, এসি নষ্ট হয়ে গেছে। এসিগুলো অনেক পুরোনো হওয়ায় এর সরঞ্জামও পাওয়া যায় না। ফলে বাধ্য হয়ে এসি চেয়ার এবং এসি কেবিন সার্ভিস বন্ধ করা হয়েছে। তবে চলতি বছরের শেষদিকে পুনরায় এই সার্ভিস চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


জানা যায়, খুলনা থেকে রাজশাহীগামী রুটের সাগরদাড়ি এক্সপ্রেসে এসি চেয়ার সার্ভিস, খুলনা থেকে চিলাহাটীগামী রুটের রূপসা ও সীমান্ত এক্সপ্রেসে এসি চেয়ার এবং এসি কেবিন সার্ভিস চালু ছিল। দীর্ঘদিন ধরে বৈদ্যুতিক সমস্যার (পাওয়ার কার) কারণে এসি সার্ভিস কমানো হয়। সর্বশেষ মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে তিনটি রুটের সব এসি সার্ভিস সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা হয়। ফলে যাত্রী দুর্ভোগ শুরু হয়েছে। বিশেষ করে তীব্র গরমে ১০ ঘণ্টার ট্রেন ভ্রমণ শিক্ষার্থী, শিশু, মহিলা ও বয়স্কদের জন্য খুবই কষ্টকর। সম্প্রতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরাও এই দুর্ভোগের শিকার হন।


নগরীর রূপসা শিপইয়ার্ড এলাকার বাসিন্দা সানিন জানান, তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন। প্রতি সপ্তাহে খুলনা থেকে রাজশাহীতে আসা-যাওয়া করেন। এসি সার্ভিস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনি ও তার পরিবার বিপাকে পড়েছেন। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না বলে তার অভিযোগ।


রাজশাহীতে কর্মরত তাছবির রছি জানান, বাড়ি খুলনায় হলেও ব্যবসা রাজশাহীতে। এই রুটের এসি সার্ভিসটি ভালো হওয়ায় ভ্রমণে তেমন কষ্ট হতো না। আধুনিক যুগে যেখানে এসি সার্ভিস বাড়ানো উচিত, সেখানে সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করাটা অযৌক্তিক।


রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী মেকানিক (খুলনা)-এর দায়িত্বে থাকা রেহেনা বেগম বলেন, সুন্দরবন এক্সপ্রেসের জন্য নতুন ১৩টি বগি চীন থেকে আনা হয়েছে। ২২ জুন থেকে এগুলো সুন্দরবনে সংযোজন করা হয়েছে। তবে রাজশাহী, চিলাহাটী রুটের বিষয়ে আমাকে কোনো মেসেজ দেওয়া হয়নি।


রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী বিদ্যুৎ (খুলনা) খাইরুল বাসার যুগান্তরকে বলেন, যে এসি চেয়ার ও কেবিন বন্ধ করা হয়েছে সেগুলো মেরামত করা দুরূহ ব্যাপার। এসব মডেল অনেক পুরোনো। যে কারণে মালামাল পাওয়া যায় না। তিনি আরও জানান, এসি কোচগুলোয় নকশা পরিবর্তন করে অন্য কোম্পানির এসি পরীক্ষামূলকভাবে লাগানো হবে। ভালো ফল পেলে এগুলো ওই রুটে সংযোজন করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার রাজশাহী (পশ্চিমাঞ্চল) অসীম কুমার তালুকদার যুগান্তরকে বলেন, আমরা মেনটেইনেন্সের জন্য চেয়েছিলাম ১২ কোটি, পেয়েছি ২ কোটি টাকা। তাছাড়া এসিগুলোর সরঞ্জামগুলো এখন আর পাওয়া যায় না। তবে এই বছরের শেষদিকে এসি সার্ভিস চালু করার চেষ্টা করব।


শেয়ার করুন