রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে প্রতিদিন তাঁর দেশের ১০০ থেকে ২০০ জন সেনার প্রাণহানি ঘটছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিয়াক। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানান তিনি।
যদিও একই দিন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেকসি রেজনিকভ বলেছিলেন, রাশিয়ার হামলায় প্রতিদিন তাঁদের ১০০ সেনাসদস্যের মৃত্যু হচ্ছে। আহত হচ্ছেন আরও ৫০০।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলের দখল নিতে হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া। অবিরাম বোমা হামলায় চাপে রয়েছে ইউক্রেনের সেনারা।
পোদোলিয়াকের ভাষ্য, ডনবাসে পারমাণবিক অস্ত্র বাদে প্রায় সব ধরনের অস্ত্রই ব্যবহার করছে রাশিয়া। এর মধ্যে রয়েছে, ভারী কামান, রকেট উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা ও যুদ্ধবিমান।
জেলেনস্কির এই উপদেষ্টা জানিয়েছেন, পূর্ব ইউক্রেনে যুদ্ধক্ষেত্রে সক্ষমতার দিক দিয়ে রাশিয়ার দিক চেয়ে ইউক্রেন পিছিয়ে রয়েছে। এ কারণেই ইউক্রেনের বিপুলসংখ্যক সেনা হতাহত হচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আগের মতোই তিনি বলেছেন, পশ্চিমা অস্ত্র সহায়তা দরকার।
মিখাইলো পোদোলিয়াক বলেন, ইউক্রেনের ১৫০ থেকে ৩০০টি রকেট উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা প্রয়োজন। কামান পেতে আমরা যে দাবি করেছি, তা খামখেয়ালি কোনো বিষয় নয়, বরং যুদ্ধক্ষেত্রে পরিস্থিতি সামলাতে এর প্রয়োজন রয়েছে।
এদিকে শুধু ইউক্রেনেরই না, পাল্টা হামলায় বিপুলসংখ্যক রুশ সেনাও মারা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেকসি রেজনিকভ। একই কথা বলেছেন ডনবাসের লুহানস্ক অঞ্চলের গভর্নর সার্গেই গাইদাইয়ের।
তবে পোদোলিয়াকের সঙ্গে সুর মিলিয়ে এটাও বলছেন যে, কামানের অভাবে তারা সমস্যার মুখে রয়েছেন।
পূ্র্ব ইউক্রেনে এখন মূল লড়াই চলছে সেভেরোদোনেৎস্ক শহর ঘিরে। সেখানে তীব্র হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের ভাষ্যমতে, রাশিয়ার কামান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় শহরটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ডনবাস শেষ পর্যন্ত কাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে তা সেভেরোদোনেৎস্কের লড়াইয়ে নির্ধারিত হবে বলে বুধবার জানানন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
সবকিছুর মধ্যে যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে কিয়েভ প্রস্তুত না বলে জানিয়েছেন মিখাইলো পোদোলিয়াক। ২৪ ফেব্রুয়ারি অভিযান শুরুর পর থেকে রাশিয়ার দখলে যাওয়া ইউক্রেনের অঞ্চলগুলো ফিরিয়ে দিলেই কেবল শান্তি আলোচনার পথে হাঁটবেন বলে জানিয়ে জেলেনস্কির এই উপদেষ্টা।