রাজশাহীতে এক সমাবেশে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংককে জীবাশ্ব জ্বালানীতে বিনিয়োগ থেকে সরে আসার আহবান জানানো হয়েছে। আজ শনিবার অলকার মোড়ে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেন পরিবর্তন পুরচালক রাশেদ রিপন, অগ্নি প্রকল্পের সমন্বয়কারি হাসিবুল হাসান এবং সোমা হাসান।
পরিবর্তন,ক্লিন এবং বিডাব্লুজিইডির যৌথ উদ্যোগে আয়েজিত সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক একটি বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংক তথা বেইজিং ভিত্তিক আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান,এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বহু-পার্শ্বিক উন্নয়ন সংস্থা। যার লক্ষ্য এশিয়ার অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থাকে সম্মিলিতভাবে উন্নত করা। বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এই ব্যাংক প্রতিষ্ঠার প্রথম তিন বছরের মধ্যে যত অর্থ বিনিয়য়োগ করেছে তার মধ্যে ২০ শতাংশ বিনিয়য়োগই জীবাশ্ম(বিশেষ করে কয়লা এবং এলএনজি) জ্বালানি প্রকল্পে। দ্রুতগতিতে পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য এই জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারই অন্যতম দায়ি । এআইআইবি ২০১৭ সাল থেকে আমাদের দেশে জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ অব্যহত রেখেছে।
২০২২ অব্দি ৫১০ মিলিয়ন ডলার শুধু মাত্র জ্বালানি খাতেই বিনিয়োগ করেছে। এরা শুধু বিনিয়োগ করে না, আমাদেরকে পারামর্শও দিয়ে থাকে । এই পরামর্শ আবার তাদের লাভের স্বার্থেই দেয়। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে এসে বিদ্যুৎ খাতে দুটি প্রকল্পে ২৭৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। ৫৮৪ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন কম্বাইন্ড-সাইকেল গ্যাস টারবাইন এবং বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা সংস্কার ও সম্প্রসারণের জন্য ১৬৫ মিলিয়ন ঋণ অনুমোদন করে। যার একটি হলো উচ্চ-ক্ষমতা সম্পন্ন গ্যাস বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ক্ষমতার সম্প্রসারণ, এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনে দূষণকারী এবং ব্যয়বহুল উৎসে র ব্যবহার হ্রাস করার একটি প্রকল্প।
এছাড়াও আমাদের দেশ বিভিন্ন বিদ্যুৎ প্রকল্পের নামে বিনিয়োগে অব্যহত রেখেছে। এআইআইবি এর জ্বালানি খাতে (গ্যাস ও কয়লা) এই বিনিয়োগের ফলে আমাদের দেশ সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত নানামুখি সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছে। আমাদের দাবি, আর নয় জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি হোক সবার জন্য। গ্যাস-কয়লা-তেল ভিত্তিক জ্বালানীতে বিনিয়োগ না-করে, বাংলাদেশের জন্য সুবিধাজনক নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ করতে হবে।