২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৯:৫১:৫০ অপরাহ্ন
ভাড়াটিয়ার হাতে মারধরের শিকার রাবি শিক্ষার্থী
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৫-১০-২০২৩
ভাড়াটিয়ার হাতে মারধরের শিকার রাবি শিক্ষার্থী

বাসা ছাড়ার কথা বলায় ভাড়াটিয়া দ্বারা মারধরের শিকার হয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগে মাস্টার্সের শিক্ষার্থী নাফিজুল ইসলাম তুষার।


ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রাজশাহী মহানগরীর পবা নতুন পাড়া এলাকার বাসিন্দা রবিউল ইসলামের ছেলে। তিনি বর্তমানে কয়েকদিন যাবত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর ছোট ভাই হাফিজুল ইসলাম মামলার বাদী হয়ে শাহ মখদুম থানায় মামলা দায়ের করেছেন।


অভিযুক্ত ভাড়াটিয়া হলেন, নজরুল ইসলামের ছেলে মো: জহুরুল ইসলাম (৪৫)। তিনি বর্তমানে সোনালী ব্যাংক রাজশাহী কোর্ট শাখায় কর্মরত আছেন। মামলার সূত্রে জানা যায়, শাহ মখদুম থানাধীন পবা নতুন পাড়া আবাসিক এলাকায় তিন তলা বিশিষ্ট বাড়িতে রবিউল ইসলামের দুই ছেলে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। তার বাবা রবিউল ইসলাম চাকরি সুবাদে বর্তমানে খুলনায় অবস্থান করছেন। প্রায় নয় মাস পূর্বে তিন তলা ভাড়া নেন সোনালী ব্যাংকে কর্মরত জহুরুল ইসলাম। পরবর্তীতে বিভিন্ন সমস্যার কারণে দুই মাস পূর্বে ভারটিয়া জহুরুল ইসলামকে বাড়ি ছেড়ে দিতে বলেন রবিউল ইসলামের ছেলে তুষার।


আজ বাসা ছাড়বো কাল বাসা ছাড়বো বলে কালক্ষেপণ করতে থাকে, এরই প্রেক্ষিতে জহরুল ও তুষারের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। আরে কথা কাটাকাটি জের ধরে গত ৩০ শে আগস্ট রাত আটটার সময় নাফিজুল ইসলাম তুষারকে আহলে হাদিস জামে মসজিদের সামনে একা পেয়ে জহরুলের হুকুমে নাজিম উদ্দীন বুলুর ছেলে পাপ্পু,পারভেজ ও আলমসহ ৫/৬ জন এলোপাথাড়ি দিল ঘুসি ও হাতুড়ি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে পাজরের হাড় ও হাত ভেঙে দেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায় পরবর্তীতে এলাকাবাসী ও তার পরিবারের সহায়তায় হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ বিষয়ে অভিযুক্ত জহুরুল বলেন মারধরের বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না কিন্তু ওর হাত আগে থেকে ভাঙ্গা ছিল আমি ওর বাবার কাছে শুনেছি যে ও হাসপাতালে আছে কারন একি বাসায় থাকি তো।


ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, আমার ১হাত জোড়া লাগছে না, হাতুড়ির আঘাতে বুকের ৪ টা কাটি ভেঙে গেছে। পিঠে, মাথায় এখনো ফুলে আছে। গতকাল আমায় রিলিজ দিলেও এখনো আমি চেকআপের জন্য ডাক্তারের কাছে আছি। আর আসামিরা বাইরে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের পলাতক দেখিয়ে বলছে তাদের খুঁজে পাচ্ছে না। এ বিষয়ে শাহ মখদুম থানার অফিসার ইনচার্জ ইসমাইল হোসেন বলেন, বিষয়টি আমি জানি মামলা হয়েছে অবশ্যই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


শেয়ার করুন