আইনি সংস্কার না হলেও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালট নিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বেশ উদ্যোগী। ইসি কয়েদিসহ আইনগতভাবে আটক ব্যক্তি, প্রবাসী এবং অন্যদের পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিও জারি করে। কিন্তু তাতে ভোটারদের সাড়া মেলেনি বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে।
পোস্টাল ব্যালটের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাধারণ ভোটারদের জন্য নির্ধারিত সময় শেষ হয়েছে। কোনো ভোটার পোস্টাল ব্যালটের জন্য আবেদন করেছেন এমন কোনো খবর পাইনি। তবে যাঁরা নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন, তাঁদের জন্য সময় আছে।’
জানা যায়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বর্তমানে ১ কোটি ৪০ লাখের মতো বাংলাদেশির অবস্থান। এই নাগরিকেরা নির্বাচনী আইন ও ব্যবস্থাপনা জটিলতার কারণে দেশের কোনো নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন না।
বিদ্যমান আরপিও অনুযায়ী বাংলাদেশি ভোটাররা দুভাবে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন—একটি হচ্ছে কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে সরাসরি, অন্যটি পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে। ইসির একাধিক কর্মকর্তার মতে, পোস্টাল ব্যালটের প্রক্রিয়াটি জটিল ও সময়সাপেক্ষ হওয়ায় তা কার্যকর হয় না।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা নিতে ইসির ব্যাপক উৎসাহ থাকলেও প্রার্থীদের কাছ থেকে সাড়া মেলেনি। এ ব্যবস্থা চালু করতে ২১ কোটি টাকার মতো খরচ করা হয়। এবার অনলাইনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন মাত্র ২১ প্রার্থী। তবে বাছাইয়ের পর বৈধ প্রার্থী আছেন মাত্র দুজন। শুধু অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে ভোটের লড়াইয়ে টিকে থাকা দুজন হলেন বিএনপি ছেড়ে নৌকার প্রার্থী হওয়া শাজাহান ওমর (ঝালকাঠি-১) এবং বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মোহাম্মদ নুরুল আমিন ভূঞা (ফেনী-২)।
ইসির অতিরিক্ত সচিব গতকাল মঙ্গলবার জানিয়েছেন, তিনটি সরকারি প্রেসে ব্যালট পেপার ছাপানো শুরু হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তা ছাপানো শেষ হবে। ২৫ ডিসেম্বরের পর ব্যালট জেলায় যাবে।