২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৬:১৭:৫৮ অপরাহ্ন
যে জেলায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা কমল ১২.৯ ডিগ্রি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-০৩-২০২৪
যে জেলায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা কমল ১২.৯ ডিগ্রি

চৈত্রের শুরুতেই দিনাজপুরে বুধবার দিনভর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা কিছুটা ব্যাহত হলেও নেমে এসেছে তাপমাত্রা মাপন যন্ত্রের পারদ। তাপমাত্রা নেমে আসায় গত কয়েকদিনের রমজানের তপ্ত আবহাওয়ার পর মিলেছে স্বস্তি। দিনাজপুরে বুধবার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৫৬ মিলিমিটার। গতকাল এটিই ছিল দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। এদিকে চৈত্রের এ বৃষ্টিতে আম, লিচুসহ বিভিন্ন ফসলের বেশ উপকার হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি অফিস।

দিনাজপুরে মঙ্গলবার দিবাগত রাত থেকে শুরু হয় ঝিরিঝিরি বৃষ্টিপাত। মাঝে মাঝে বৃষ্টিপাতের মাত্রা বাড়লেও বুধবার দিনভর ছিল গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। দিনভর বৃষ্টিতে কিছুটা ব্যাহত হয়েছে এ অঞ্চলের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। 

দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানান, বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দিনাজপুরে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৫৬ মিলিমিটার। বুধবার এটিই দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত বলে জানিয়েছেন তিনি। এদিকে পবিত্র মাহে রমজানের গত কয়েকদিন প্রখর রোদের কারণে বেশ উষ্ণ আবহাওয়া বিরাজ করলেও বুধবার দিনভর বৃষ্টিপাতের কারণে নেমে এসেছে তাপমাত্রা। ফলে দিনভর বৃষ্টিপাতের কারণে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা কিছুটা ব্যাহত হলেও তাপমাত্রা নেমে আসায় ফিরেছে স্বস্তি।

তোফাজ্জল হোসেন জানান, মঙ্গলবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বৃষ্টিপাতের কারণে বুধবার তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

এদিকে চৈত্রের এ বৃষ্টিতে আম ও লিচুর বেশ উপকার হয়েছে বলে জানান কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা। দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মো. নুরুজ্জামান জানান, দিনাজপুরের বেশিরভাগ আম ও লিচু গাছের মুকুল এখন গুটিতে পরিণত হয়েছে। এ বৃষ্টিপাত এসব আম ও লিচুর জন্য আশির্বাদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেসব গাছের মুকুল এখনো গুটিতে পরিণত হয়নি, সেসব আম ও লিচুর কিছুটা ক্ষতি হতে পারে এ বৃষ্টিপাতে। এছাড়াও জমিতে বোরো এবং ভুট্টা খেতের জন্য আশির্বাদ হয়ে দাঁড়িয়েছে চৈত্রের এ বৃষ্টিপাত। তবে যেসব জমির গম পাকতে শুরু করেছে, এ বৃষ্টি সেসব গম খেতের কিছুটা ক্ষতি হতে পারে বলে জানান কৃষি কর্মকর্তারা।

শেয়ার করুন