রাজশাহীতে হিন্দু কলেজ শিক্ষার্থীকে উত্যক্ত ও তার বাবাকে আঘাত করার ঘটনাটি সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত ফরহাদের স্ত্রী।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহীর একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব দাবি করেন।
এসময় তিনি বলেন, ইমন নামের এক ছেলের সঙ্গে প্রিন্সের দ্বন্দ্ব আগে থেকে। তারপর থেকে ইমন পলাতক । হঠাৎ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালেয়ের স্টেশনে নীল মাধবসহ ইমন আসলে প্রিন্সের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা ও ধাক্কাধাক্কি হয়। তখন নীল মাধব পড়ে তার মাথা ফেটে যায়। কিন্তু তারা এ ঘটনাকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। নীল মাধবের মেয়েকে কেউ উত্যক্ত করেনি।
এরআগে বুধবার রাতে এ ঘটনায় অভিযুক্ত মিরাজ, ফরহার ও আখের নামের তিন ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ৫।
গত ১২ আগস্ট সন্ধ্যায় কলেজ ছাত্রী কন্যা বর্ষাকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবা নীলমাধব সাহাকে হাতুড়িপেটা করে মাথা ফাটিয়ে দেন ছাত্রলীগ নেতা মহানগর ছাত্রলীগের সহসভাপতি রুহুল আমিন প্রিন্স, ছাত্রলীগ নেতা ফরহাদ, মেরাজ, রায়হান, মামুন ও তাদের সহযোগী আখের সহ কয়েকজন বখাটে।
পরে নীল মাধব থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। এঘটনায় বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেন নীল মাধব ও তার পরিবার।