রাজশাহীর বাঘায় ড্রেন নির্মাণকাজ বন্ধ থাকায় মহাসড়ক যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। মাটি কেটে খুঁড়ে রাখায় বৃষ্টির পানিতে রাস্তা ভেঙে যাচ্ছে। সড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করে ড্রেন নির্মাণ করায় রাস্তা সরু হয়ে যাচ্ছে। এতে ভোগান্তি বেড়েছে সড়কে চলাচলকারী মানুষের।
জানা গেছে, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে ৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে বাঘা পৌরসভায় পানি সরবরাহ এবং স্যানিটেশন প্রকল্পের ড্রেন নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। বাঘা বঙ্গবন্ধু চত্বর থেকে বাঘা বাজারের পূর্ব বটতলা পর্যন্ত ১ হাজার ৭৮৪ মিটার ড্রেন নির্মাণের কাজটি করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কোকন কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড।
জিওবি, বিশ্বব্যাংক, এআইআইবির অর্থায়নে কাজটি বাস্তবায়ন করছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর। ২০ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে ২৯ ডিসেম্বরের মধ্যে। কিন্তু এখন পর্যন্ত মাত্র আধা কিলোমিটারের মতো কাজ হয়েছে বলে জানা গেছে।
উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, সরকারি রাস্তার সীমানায় অবৈধভাবে দোকান, মার্কেট তৈরি করার ফলে যান চলাচলে জনসাধারণের ভোগান্তি বেড়েছে। উচ্ছেদ না করে মূল রাস্তা কেটে ড্রেন নির্মাণের কাজ করছে ঠিকাদার। এতে মূল সড়কও ছোট হয়ে যাচ্ছে। আর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করে ড্রেন নির্মাণ করা হলে সড়ক প্রশস্তকরণের সময় অবৈধ দখল আগের মতোই থেকে যাবে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কোকন কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের সাইট সুপারভাইজার দিপক কুমার রায় বলেন, ঝামেলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ড্রেনের কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। অবৈধ স্থাপনা ভেঙে না দিলে ড্রেন রাস্তার ওপর যাবে। পৌরসভা কর্তৃক দেখানো সীমানায় কাজ করা হচ্ছিল।
বাঘা পৌর মেয়র আবদুর রাজ্জাক বলেন, সড়কের জায়গা দখলমুক্ত করতে পারি না। জনস্বার্থে সরকারি সীমানা নির্ধারণপূর্বক ড্রেনের কাজ করার জন্য জেলা প্রশাসককে অবগত করেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আখতার বলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সরেজমিন দেখে সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন।
রাজশাহীর সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল হাকিম বলেন, এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।