বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আবার জয় পেলে বেইজিং খুশিই হবে। তবে, ভারত ও চীনের সঙ্গে সম্পর্কের ভারসাম্য রক্ষা করতে হিমশিম খেতে পারে ঢাকা। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরায় প্রকাশিত এক অভিমতধর্মী নিবন্ধে গতকাল এমন মন্তব্য করেছেন ভারতের রাজনৈতিক বিশ্লেষক সৌরভ সেন।
‘বাংলাদেশ ইলেকশন মার্কস আ প্রো-চায়না টিপিং পয়েন্ট ইন সাউথ এশিয়া’ শিরোনামে ওই নিবন্ধে কলকাতাভিত্তিক লেখক সেন বলেছেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচন সবসময়ই আন্তর্জাতিক অঙ্গনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তবে, এবার কিছু ভূরাজনৈতিক ইস্যু বাড়তি গুরুত্ব যোগ করেছে। বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে না থাকায় যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মতো দেশগুলো এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মতো সংঘগুলো নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারকে চাপ দিতে কথা, প্রশাসনিক পদক্ষেপ ও কূটনীতির আশ্রয় নিয়েছে।’
অন্যদিকে, সেন লিখেছেন, ‘চীন ও রাশিয়া পাল্টা অবস্থান নিয়েছে। তারা অন্যদের- মূলত যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করতে বলেছে।’ সেন মন্তব্য করেছেন, ‘বিশ্বশক্তির এ ধরনের মেরুকরণ দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতির বর্তমান চিত্র তুলে ধরে। বাংলাদেশ কে শাসন করে, তা এই দেশগুলোর কাছে গুরুত্বপূর্ণ।’
নিবন্ধে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও এর পশ্চিমা মিত্রদের তুলনায় চীন ও ভারত বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে তাদের প্রতিক্রিয়ায় বেশি সংযম দেখিয়েছে। চীন বলেছে, নির্বাচনে বহিরাগত হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারকে তারা সমর্থন করবে। ভারত মনে করে, ‘অতিরিক্ত’ চাপ প্রয়োগ করলে বাংলাদেশের বিরোধী দলগুলোর মধ্যে কট্টরপন্থি শক্তি বরং জোরালো হবে।
সেন মন্তব্য করেছেন, ‘৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর কী ঘটবে তা বাংলাদেশ এবং এ অঞ্চলের ও বিশে^র পরাশক্তিগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’