২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৭:২০:১১ অপরাহ্ন
নিবন্ধনই নেই শিশু আয়ান মারা যাওয়া সেই হাসপাতালের
  • আপডেট করা হয়েছে : ১০-০১-২০২৪
নিবন্ধনই নেই শিশু আয়ান মারা যাওয়া সেই হাসপাতালের

রাজধানীর মাদানি সড়কের শেষ প্রান্তে নির্মাণাধীন একটি ভবন। বেসমেন্ট ও প্রথম তলার কাজ সম্পন্ন হয়েছে, ওপরের তলাগুলোর কাজ চলেছে। সেখানে বড় করে লেখা আছে ‘ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল’। 


স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল নামে কোনো প্রতিষ্ঠানের নাম তাদের জানা নেই। এই নামে কোনো প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন নেই। এমনকি আজ পর্যন্ত এই নামের কোনো প্রতিষ্ঠান নিবন্ধনের জন্য আবেদনও করেনি। অথচ গত ৩০ ডিসেম্বর এই অনুমোদনহীন হাসপাতালেই সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে শিশু আয়ান আহমেদের মৃত্যু হয়েছে। 


নিবন্ধন ছাড়াই প্রতিষ্ঠান পরিচালনা সম্পর্কে জানতে চাইলে ইউনাইটেড হসপিটাল লিমিটেডের পরিচালক ডা. মাহবুব আজকের পত্রিকাকে বলেন, এসব বিষয়ে তিনি বলতে পারবেন না। হাসপাতালের অ্যাডমিন শাখায় কথা বলতে হবে। 


হাসপাতালের অপারেশন অ্যান্ড অ্যাডমিন শাখার জেনারেল ম্যানেজার লে. কর্নেল বশির আহমেদের (অব.) কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে এসব বিষয়ে তিনি জানেন না বলে জানান। কে জানেন, জানতে চাইলে তিনি অফিসে দেখা করতে বলেন। 


নিরাপদে খতনা করাতে হাসপাতালে, লাইফ সাপোর্টে শিশু আয়ানের মৃত্যু নিরাপদে খতনা করাতে হাসপাতালে, লাইফ সাপোর্টে শিশু আয়ানের মৃত্যু 

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. অধ্যাপক ডা. বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ বলেন, ‘মেডিকেল কলেজের অনুমোদন রয়েছে। তবে হাসপাতালটির অনুমোদন আছে কি না, আমার জানা নেই।’ তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখা থেকে আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করা হয়েছে, ওই হাসপাতালের নিবন্ধনের জন্য কোনো আবেদনই করা হয়নি।

 


আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় গতকাল রাজধানীর বাড্ডা থানায় মামলা করেছেন তার বাবা মো. শামীম আহমেদ। এতে আসামি করা হয় ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের অ্যানেসথেসিয়া স্পেশালিস্ট চিকিৎসক সাইদ সাব্বির আহম্মেদ, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর তাসনুভা মাহজাবিন, ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের অজ্ঞাতনামা পরিচালক, চিকিৎসক ও অজ্ঞাতনামা কর্মকর্তা-কর্মচারীকে। 


মামলায় শামীম আহমেদ উল্লেখ করেন, ৩০ ডিসেম্বর ছেলে আয়ান আহমেদের সুন্নতে খতনার জন্য ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকের পরামর্শে কিছু পরীক্ষা করে পরদিন সকালে ছেলেকে অপারেশনে নেওয়া হয়।


শেয়ার করুন