ঈদযাত্রায় রাজধানী ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন মানুষ। মহাসড়কগুলোতে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। এতে তৈরি হচ্ছে যানজট। শুক্রবার ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে যানজট দেখা গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ঘরমুখো মানুষ। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশে ১৩ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ এবং কুমিল্লার দাউদকান্দি অংশেও যানজট হয়েছে। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রায় থেমে থেমে যানজট দেখা গেছে। হাইওয়ে পুলিশ বলেছে, ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন ও ভোগান্তিমুক্ত রাখতে কাজ করছে পুলিশ। ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
কুমিল্লা : দুপুরে মহাসড়কের পদুয়ার বাজার এলাকায় গিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সকালে ঢাকা থেকে যারা চট্টগ্রামমুখী গন্তব্যে রওয়ানা করেছেন তাদের মেঘনা ব্রিজ থেকে কুমিল্লা অংশ পার হতে প্রায় ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা সময় লেগেছে। স্টার লাইন বাসের যাত্রী মোবারক হোসেন জানান, সকাল ৮টায় ঢাকা থেকে রওয়ানা করেছি। বিকাল ৪টা পর্যন্ত কুমিল্লায় পৌঁছতে পেরেছি।
দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ওসি শাহীনুল আলম বলেন, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার ভবেরচর এলাকা থেকে দাউদকান্দির শহীদনগর পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার যানজট ছিল বিকাল পর্যন্ত। পরে তা স্বাভাবিক হয়েছে।
ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল আলম বলেন, মহাসড়কে গাড়ির চাপ বেড়েছে। শুক্রবার ছুটির দিনে বিপুলসংখ্যক মানুষ বাড়ি ফিরেছে। এতে মহাসড়কের বিভিন্ন স্টেশনগুলোতে কিছুটা যানবাহনের জটলা হয়। তবে হাইওয়ে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের পুলিশ সুপার খাইরুল আলম বলেন, ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন ও ভোগান্তিমুক্ত রাখতে কয়েক স্তরে কাজ করছে পুলিশ ও প্রশাসন।